সাদ্দাম পরবর্তী ইরাকে ইন্টারনেট

২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেনের অপসারণের পর ইরাকে ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট সরকারি নীতি ও সেদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর অবস্থানের এক বৈপ্লবিক পরিবতর্ন ঘটে। ইরাকি জীবনযাত্রার অন্যান্য ক্ষেত্রের মত ইন্টারেনেটের ক্ষেত্রেও একথা সত্য যে ইরাকে এখনো এ বিষয়ে কোন একক সমরূপ সত্ত্বা কাজ করছে না। সাধারণ ইরাকি জনগণের ব্যবহৃত ব্লগ ও ফেসবুক ব্যবহারকারী দল এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সাইবার জগতে সশস্ত্র ইসলামি জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদলের অস্তিত্বও আছে। একইসাথে আছে বিদেশী সামরিক এবং বেসামরিক সংঠনের উপস্থিতি। পরিহাসের বিষয় হলো কি, এসব দলগুলো একে অন্যের সঙ্গে বিজড়িত হয়ে আছে। ইরাকের পশ্চিমা পৃষ্ঠপোষকেরা যোগাযোগ অবকাঠামোয় যথেষ্ট বিনিয়োগ করছে। আর মজার বিষয় হলো, এই অবকাঠামো যেমন সরকার ব্যবহার করছে তেমনি আবার জঙ্গি বিদ্রোহীরাও বিদেশী এবং সরকারি শক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর তাদের বিভিন্ন আক্রমনের কথা তুলে ধরতে এই একই অবকাঠামো ব্যবহার করছে। আর সাধারণ ইরাকিরা তো এই অবকাঠামোতে যুক্ত হয়েই আছে। তারা তাদের জীবনকাহিনী তুলে ধরছে, কিভাবে তারা জঙ্গি বিদ্রোহী, বিদেশী শক্তি এবং সরকারের মধ্যকার দ্বন্দ্বময় পরিস্থিতিতে জীবন নির্বাহ করে চলছে সেসব নিত্য কাহিনী ভাগাভাগি হচ্ছে বিশ্ববাসীর সঙ্গে।

 

ইরাকে ইন্টারনেটের বিস্তার

১৯৮৮ সালে প্রথম ইরাকে ইন্টারনেটের প্রচলন হলেও সাধারণ জনগণের ব্যবহারের জন্য এটি লভ্য হতে আরো দুই বছর সময় লাগে। সাদ্দাম হোসেনের শাসনকালের শেষ দিনগুলোতে ২৪ মিলিয়ন ইরাকির মাঝে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪৫,০০০ এ এসে দাঁড়ায়। এদের বেশীরভাগই ছিল সরকারি কর্মকর্তা, বাকিরা ইরাকি জনগণের বিত্তশালী ব্যক্তি যাদের পক্ষে অত্যন্ত উঁচু ফিস দেয়া সম্ভব ছিল। এসময় ইন্টারনেট ব্যবহারে অতি উচ্চ মূল্য গুণতে হতো যা সাধারণ ইরাকি জনগণের নাগালের বাইরে ছিল। এমন ফিসের কারণ ছিল মডেম অধিকারের ওপর আইনগত সীমাবদ্ধতা এবং সেসময় ইরাকের ওপর আরোপকৃত নিষেধাজ্ঞার ফলে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও অবকাঠামোর অভাব।

সেসময় সাদ্দাম হোসেন ক্ষমতাসীন থাকা পর্যন্ত ৬৫টি ইন্টারনেট ক্যাফের সমণ্বয়ে এক নেটওয়ার্ক স্থাপিত হয়েছিল। অবশ্য সেসব ক্যাফেতে সবধরনের ইমেইল সেবায় প্রবেশাধিকারে বাধা প্রদান করা হয়েছিল এবং এমনকি অনুমোদিত ওয়েবসাইটে প্রবেশের সুবিধাও অত্যন্ত সীমিত ছিল। এসব সীমাবদ্ধতাকে পাশ কাটিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করার যেসব বিকল্প ছিল তার মধ্যে সবচে উল্লেখযোগ্য হলো সরাসরি কুর্দিস্তান অঞ্চলে গিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করা। কারণ, সে অঞ্চলে এসব বাধানিষেধ তুলনামূলকভাবে প্রায় ছিল না বললেই চলে।[১]

এখনো পর্যন্ত ইরাকে ইন্টারনেট ব্যবহার দেশের সুবিধাভোগী স্বচ্ছল অংশের জন্যই প্রযোজ্য। সরকারি পরিসংখ্যান মতে সেদেশের জনসংখ্যার ১% ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন হার। ইন্টারনেটে প্রবেশের হারের হিসেবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দেশটি হলো ইয়েমেন যার ক্ষেত্রে এই হারটি হলো ১.৬%। অবশ্য ইয়েমেনের ঠিক উপরের অবস্থানের দেশটি হলো ১৩.৬% শতকরা হারের ওমান।[২] ইরাকের পরিস্থিতি অবশ্য বেশ জটিল। ২০০৮ সালের এক রিপোর্ট মোতাবেক দেশটির সরকারি ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ২৫০,০০০। কিন্তু ইরাকের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক আমেরিকান উপদেষ্টার মতে প্রকৃত সংখ্যাটি আসলে ১২ মিলিয়ন (!)। এদের বেশীরভাগই বৈধ সংযোগকে অবৈধভাবে একাধিকভাবে ব্যবহার করে ইন্টারনেটে প্রবেশ করত। রাষ্ট্র যেহেতু তাদের সংযোগ চাহিদা মেটাতে পারছিল না, সেহেতু এমন ঘটনা ঘটছিল।[৩]

মজার ব্যাপার হলো কি, ইরাকের যুবসমাজের অধিকাংশই ইন্টারনেটের সঙ্গে পরিচিত এবং এদের অনেকেরই ইমেইল ঠিকানা আছে ও এরা বিভিন্নভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। ইন্টারনেটে অনেক ইরাকি ব্লগার আছে।[৪] কেউ দেশে[৫] এবং কেউ দেশের বাইরে। এখন যারা দেশের বাইরে কিছুদিন আগেও হয়তো তারা দেশই ছিল।[৬] এসব ব্লগাররা বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ, কেউ ইংরেজিতে, কেউ লিখে থাকেন আরবিতে। তাদের ব্লগগুলোর যেগুলো এখনো সক্রিয় আছে সেগুলোতে দেশের ভেতরের চলমান অসংখ্য বাস্তবতার টুকরো ছবি ফুটে উঠে।[৭]

ফেসবুকে প্রবেশ করলে আপনারা দেখবেন যে সেখানে প্রচুর ইরাকি গ্রুপ এবং ব্যক্তিগত পেজের অস্তিত্ব আছে। এদের কেউ দেশের ভেতরে, কেউ দেশের বাইরে থেকে পোস্ট করে। কোনটি আরবিতে, কোনটি ইংরেজিতে। কোন কোন গ্রুপে হাজারের ওপরে সদস্য আছে। এসব গ্রুপ বা পেজের সাধারণ বিষয়বস্তু হলো ইরাকের জীবনযাত্রা।[৮] তবে বিষয়ভিত্তিক আলোচনাও চলে, যেমন: ইতিহাস,[৯] পরিবেশ,[১০] তুর্কিমেন সংখ্যালঘু, [১১] লেখাপড়ার জীবন,[১২] ইরাকি প্রকৌশলী,[১৩] ইরাকি শেয়ার বাজার,[১৪] ফুটবল,[১৫] নারী,[১৬] এবং ইরাকি সেনাবাহিনী।[১৭] আপনি চাইলে সাদ্দাম হোসেনের প্রতি নিবেদিত গ্রুপও খুজেঁ পাবেন যেখানে তাকে “ইরাকের রাজা” হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে এবং সেই গ্রুপের “ভক্ত” সংখ্যা ৬৯। তবে এই গ্রুপটি এখন বলতে গেলে প্রায় নিষ্ক্রিয়।[১৮] একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট বুশের প্রতি জুতো ছুড়েঁ দেয়া সাংবাদিকের প্রতি নিবেদিত গ্রুপের দেখাও পাবেন। এই গ্রুপটির “ভক্ত” সংখ্যা ১৭০০।[১৯] এসব ইরাকি গ্রুপগুলোর কোনটি প্রতিনিয়ত হালনাগাদ করা হচ্ছে,[২০] কোন কোনটি অনেকদিন ধরে হালনাগাদ করা হয়নি,[২১] অন্যগুলো বেশ কয়েকবছর ধরে সক্রিয়। ইন্টারনেটে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ইরাকি প্রতিষ্ঠানের অস্ত্বিত্ব আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, রাষ্ট্রপতির অফিস,[২২] মন্ত্রিসভা,[২৩] সংসদ (জাতীয় এবং কুর্দিশ আঞ্চলিক সংসদ),[২৪] এবং অন্যান্য বিভিন্ন সরকারি এজেন্সি ও কোম্পানি যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সরকারি বিমান সংস্থা।[২৫] অবশ্য রাষ্ট্রপতির অফিসের ওয়েবসাইটে দেয়া অনেক সরকারি লিংকগুলো অকার্যকরযা একথা প্রমান করে যে ইরাকে এমনকি সরকারি ক্ষেত্রেও ইন্টারনেটে প্রবেশের হার প্রাথমিক অবস্থায় আছে।[২৬]  ইরাকে তথ্য অবকাঠামোর উন্নয়নে আমেরিকার প্রচেষ্টা স্পষ্ট বোধগম্য। আমেরিকার প্রতিরক্ষা দপ্তর ইরাকে ইন্টারনেট ক্যাফে তৈরীতে ১৬৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এর ফলে ২০০৪ সালের স্থাপিত ৩৬টি ক্যাফে থেকে ২০০৭ সালে সংথ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০ এ।[২৭] এসব ক্যাফেতে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগসহ উন্নত কম্পিউটার ব্যবস্থা পাওয়া যাবে। সেখানে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহারের সুযোগ যেমন আছে তেমনি সেগুলো ছোট ছোট ভিন্ন ভিন্ন কক্ষে তা ব্যবহার করায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তাও নিশ্চিত হচ্ছে।

 

ইসলামি জঙ্গি দলগুলোর হাতিয়ার হিসেবে ইন্টারনেট

ইরাকে ইসলামি আন্দোলন ও সংগঠনগুলোর অনেকেরই নিজস্ব ইনটারনেট সাইট আছে।[২৮] এগুলোর কোনটি সক্রিয়, [২৯] অন্যগুলো আর সচল নেই।[৩০] সক্রিয় সাইটগুলোর মধ্যে একটি “বাগদাদের চোরাগোপ্তা খুনি”দের প্রতি নিবেদিত।[৩১] অন্য একটি সাইট “ইরাকি ইসলামি সেনাবাহিনীর ফসল ২০০৮” এর কিছু মাল্টিমিডিয়া তুলে ধরতে সক্রিয়।[৩২] এছাড়াও এসব গ্রুপের প্রতি নিবেদিত বিভিন্ন আলোচনার ফোরাম আছে।[৩৩] ইসলামি দলগুলো অবশ্য তাদের বিভিন্ন আক্রমনের কথা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে ইউটিউবও ব্যবহার করে থাকে। সেসব আক্রমন হতে পারে রাস্তার ধারের বোমা বিস্ফোরণ বা চোরাগোপ্তা গুলি বিনিময়।[৩৪] তাদের এসব ভিডিওর সঙ্গে অনেকসময় ইসলামি সঙ্গীত যুক্ত করা থাকে।[৩৫] আপনি অবশ্য প্রাত্যহিক জীবনের বর্বরতাও দেখতে পাবেন, হত্যা[৩৬] এমনকি সরকারি বাহিনীগুলোর সহিংসতার চিত্রও দেখতে পাবেন।[৩৭]

সম্প্রতি এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, ইরাকে ইসলামি জঙ্গিরা সমকামীদের খুঁজে বের করতে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। তারা বিভিন্ন চ্যাটরুম ও ফোরামের উপর নজর রেখে কাজটি করে থাকে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে এসব ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে অত্যাচার, নিপীড়ন ও হত্যা করা। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১৩০ জন সমকামী হত্যার জন্য এসব জঙ্গি দলই দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।[৩৮]

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইন্টারনেট ব্যবহারে সরকারি হস্তক্ষেপ বা বাধানিষেধ সংশ্লিষ্ট কোন তথ্য সম্পর্কিত দলিল সংরক্ষিত হয়নি। এ বিষয়ে কোন নীতিও ঘোষিত হয়নি।[৩৯] সম্প্রতি কয়েকমাস ধরে অবশ্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ইরাকি কতৃপক্ষ তথ্য স্বাধীনতাকে খর্ব করছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বই প্রকাশে বাধানিষেধ এবং ইন্টারনেটে ক্ষতিকর ঘোষিত কিছু সাইটে প্রবেশে বাধাদান। এসব সাইট মূলত যৌনতা সংশ্লিষ্ট, অথবা মাদক, জুয়া, ইসলামের সমালোচনা বা সহিংসতা সংশ্লিষ্ট বিষয়াদির উপস্থাপন করে থাকে। ইন্টারনেট ক্যাফে মালিকরা সরকারি কতৃপক্ষের কাছে নিবন্ধন করতে অথবা ক্যাফে বন্ধ করতে বাধ্য। কতৃপক্ষ যুক্তি হিসেবে বলে থাকে যে, এসব নিষিদ্ধ বই এবং ওয়েবসাইটের সংস্পর্শ সহিংসতাকে উস্কে দিচ্ছে এবং যুবসমাজকে বিপথগামী করছে। বিপরীত পক্ষে বলা হচ্ছে, সরকারের এমন পদক্ষেপ দেশকে আবার সাদ্দাম হোসেনের শাসনামলে বা পিছিয়ে থাকা প্রতিবেশী দেশগুলোর পরিস্থিতিতে নিয়ে যাবে।[৪০]

উপসংহারে বলা যায়, ২০০৩ পূর্ববর্তী সময়ে বহির্বিশ্ব হতে ইরাকের বিচ্ছিন্নতা, তার পরিণতিতে প্রাপ্ত অপ্রতুল প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর সঙ্গে যোগ হয়েছে সেসময় থেকে বর্তমান অবধি চলমান উদ্ভূত নৈরাজ্যিক অস্থিতিশীলতা। স্বাভাবকিভাবেই এসবের প্রভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার ও ইন্টারনেটে প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সমপর্যায়ে পৌঁছতে ইরাকি জনগণকে আরো সময় অপেক্ষা করতে হবে। উল্লেখযোগ্য কথাটি হলো, ইরাকি জনগণের একাংশ নতুন এই গণমাধ্যমে প্রবেশের জন্য উম্মুখ হয়ে আছে। তবে একথা নি:সন্দেহে বলা যায়, দেশটি যতবেশী সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যকারিতা ও স্থিতিশীলতার দিকে এগোবে জনগণের কল্যানে ইন্টারনেট ততটাই বেশী ভুমিকা রাখতে পারবে।

 

NOTES

[1] http://www.anhri.net/en/reports/net2004/iraq.shtml

[2] http://www.internetworldstats.com/stats5.htm

[3] http://www.boston.com/news/world/middleeast/articles/2008/05/25/iraqi_software_pirate_likes_it_offshore_where_his_skills_mean_good_business/

[4] আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ বলছে যে বেশীরভাগ ব্লগই গুগল এর “ব্লগার” প্লাটফর্মকেন্দ্রিক। এছাড়াও ইরাকি ব্লগগুলোর মানচিত্র তুলে ধরা ‘ইরাক ব্লগ কাউন্ট’ http://iraqblogcountexp.blogspot.com এর হিসেব মতেও ১৪৯টি ব্লগের মধ্যে ১১০টিই গুগল নিভর্র।

[5] http://www.rosebaghdad.blogspot.com, http://moslawi.blogspot.com,

http://www.astarfrommosul.blogspot.com, http://iraqi-translator.blogspot.com,

http://baghdadentist.blogspot.com, http://confusediraqi.blogspot.com,

http://saminkie.blogspot.com

[6] http://aviraqi.blogspot.com, http://www.baghdadgirl.blogspot.com,

http://baghdadtreasure.blogspot.com, http://iraqimojo.blogspot.com

[7] http://www.astarfrommosul.blogspot.com – Active since June 2004;

http://secretsinbaghdad.blogspot.com – Active since December 2003;

http://neurotic-iraqi-wife.blogspot.com – Active since August 2004;

[8]

http://www.facebook.com/search/?flt=1&q=IRAQ&o=65&sid=1431751423.1567501651..1&s=

10#/group.php?gid=2298113332&ref=search&sid=1431751423.1567501651..1 ,

http://www.facebook.com/search/?flt=1&q=IRAQ&o=65&sid=1431751423.1567501651..1&s=

10#/group.php?gid=9965939982&ref=search&sid=1431751423.1567501651..1 ,

http://www.facebook.com/search/?flt=1&q=IRAQ&o=69&sid=1431751423.1567501651..1&s=

10#/group.php?gid=35884694252&ref=search&sid=1431751423.1567501651..1 ,

[9]

http://www.facebook.com/search/?flt=1&q=IRAQ&o=69&sid=1431751423.1567501651..1&s=

10#/group.php?gid=55648240758&ref=search&sid=1431751423.1567501651..1

[10]

http://www.facebook.com/search/?flt=1&q=IRAQ&o=65&sid=1431751423.1567501651..1&s=

10#/pages/Keep-Iraq-Clean-/200170140345?ref=search&sid=1431751423.1567501651..1

[11]

http://www.facebook.com/search/?flt=1&q=IRAQ&o=65&sid=1431751423.1567501651..1&s=

10#/pages/Kirkuk-Iraq/Iraq-

Turkmeneli/58551125117?ref=search&sid=1431751423.1567501651..1

[12]

http://www.facebook.com/search/?flt=1&q=IRAQ&o=65&sid=1431751423.1567501651..1&s=

30#/pages/baghdad-Iraq/University-of-Technology-

IRAQ/27326700705?ref=search&sid=1431751423.1567501651..1 ,

http://www.facebook.com/search/?flt=1&q=IRAQ&o=65&sid=1431751423.1567501651..1&s=

30#/iraqedu?ref=search&sid=1431751423.1567501651..1 ,

http://www.facebook.com/pages/Iraq-Scholars-and-Leaders-Program-

ISLP/124512469709?ref=search&sid=1431751423.1567501651..1

[13]

http://www.facebook.com/search/?flt=1&q=IRAQ&o=65&sid=1431751423.1567501651..1&s=

10#/pages/Iraq/Iraq-Engineers/66550535071?ref=search&sid=1431751423.1567501651..1

[14] http://www.facebook.com/pages/Iraq-Stock-

Exchange/24947317363?ref=search&sid=1431751423.1567501651..1

[15] http://www.facebook.com/pages/Hamilton-ON/iraq-fc-

2009/86666973300?ref=search&sid=1431751423.1567501651..1 ,

http://www.facebook.com/pages/Iraq-national-footballteam/

63534000107?ref=search&sid=1431751423.1567501651..1

[16] http://www.facebook.com/pages/Women-for-Women-International-

Iraq/70579588419?ref=search&sid=1431751423.1567501651..1

[17] http://www.facebook.com/pages/Army-Of-

Iraq/45571733506?ref=search&sid=1431751423.1567501651..1 ,

http://www.facebook.com/pages/-Iraq-

Army/118879458567?ref=search&sid=1431751423.1567501651..1

[18] http://www.facebook.com/pages/Saddam-HUSSEIN-King-of-Iraq-

/106846778623?ref=search&sid=1431751423.1567501651..1

[19] http://www.facebook.com/pages/brave-iraq-reporter-attacks-George-w-bush-with-hisshoes/

105791760244?ref=search&sid=1431751423.1567501651..1

[20] http://abutamam.blogspot.com

[21] http://riverbendblog.blogspot.com, http://bethnahrain.blogspot.com,

http://www.theiraqiroulette.blogspot.com

[22] http://www.iraqipresidency.net

[23 http://www.cabinet.iq

[24] http://www.parliament.iq; http://www.kurdistan-parliament.org

[25] http://www.motiraq.org, http://www.iraqimoc.net, http://www.moheiraq.org, http://www.iqairways.

com

[26] http://www.cbiraq.org, http://www.uruklink.net/oil, http://www.iraqelectric.org,

http://www.moeiraq.info, http://www.ieciraq.org, http://www.iraqi-mwr.org,

http://www.iraqiindustry.com

[27] http://opennet.net/studies/iraq2007

[28] ইরাকে সক্রিয় ইসলামি দলগুলোর মানচিত্র জানার জন্য দেখুন: আবদুল হামিদ বাকিয়ের, “জিহাদি ওয়েবসাইটে তুলে ধরা ইরাকের ইসলামি মুজাহিদিন: প্রথম পর্ব”, দি জেমসটাউন ফাউনডেশন, প্রকাশনা: টেররিজম ফোকাস: ভল্যুম ৫: ইস্যু ৪০, ২৬ নভেম্বর ২০০৮ http://www.jamestown.org/single/?no_cache=1&tx_ttnews%5Btt_news%5D=34183;

এবং তদুক্ত “, “জিদাদি ওয়েবসাইটে তুলে ধরা ইরাকের ইসলামি মুজাহিদিন: দ্বিতীয় পর্ব”, দি জেমসটাউন ফাউনডেশন, প্রকাশনা: টেররিজম ফোকাস: ভল্যুম ৫: ইস্যু ৪১, ০৩ ডিসেম্বর ২০০৮ http://www.jamestown.org/single/?no_cache=1&tx_ttnews%5Btt_news%5D=34209

[29] http://www.ktb-20.net/ktb, http://ansar11.org, http://iaisite.org, http://rjfront.info,

http://jaami.info, http://al-rashedeen.info

[30] http://www.kataeb20.com, http://al-hesbah.info, http://al-firdaws.info, http://al-ekhlaas.net,

http://m3ark.net, http://www.alrashedeenarmy.com

[31] http://baghdadsniper.net

[32] http://alboraqmedia.org/index.php?option=com_content&task=view&id=116&Itemid=1

[33] http://alboraq.info, http://alboraqforum.info, http://alboraq.biz, http://muslm.net/vb,

http://hanein.info/vb

[34] http://www.youtube.com/watch?v=fs-OIJxDEEQ,

http://www.youtube.com/watch?v=qORfqCZ3dLc,

http://www.youtube.com/watch?v=cSv6aOBocMY,

http://www.youtube.com/watch?v=HY5z5r2UjYo,

http://www.youtube.com/watch?v=O0kETEhxIis,

http://www.youtube.com/watch?v=MgAH9SdwK6s

[35] http://www.archive.org/details/Homaat-Aldaar

[36] http://www.youtube.com/watch?v=wPUWXN3dn2o

[37] http://www.youtube.com/watch?v=rwbuFLLG71A,

http://www.youtube.com/watch?v=gNIpnIGMb9o,

http://www.youtube.com/watch?v=kBztD75sOuQ,

http://www.youtube.com/watch?v=2yLVyJBIt5c

[38] http://www.care2.com/causes/human-rights/blog/making-a-career-out-of-killing-gayiraqis-

using-internet-lgbt-genocide

[39] http://opennet.net/research/profiles/iraq

[40] http://www.nytime

This post is also available in: English العربية Français עברית فارسی Türkçe اردو